দ্বিতীয় উপন্যাস “নগরনটী”র প্লট বেশ মজবুত। ঘটনাবিন্যাস সুচিন্তিত ও সুপরিকল্পিত। আমার মনে হয় বর্তমান খণ্ডে এই কাহিনীটিই সব চেয়ে ভাল উতরেছে। একজন সুন্দরী নারী, তার অক্ষম স্বামী, তিনটি পুরুষ মক্ষিকা, একজন চিত্রাভিনেত্রী—এই সকলকেই নিয়ে গল্পের জট বেঁধেছে। বহুবল্লভা নায়িকা মালঞ্চ যে রাত্রে খুন হল সে রাত্রে তার তিনজন প্রণয়ীই তার কক্ষে প্রবেশ করেছিল। সেই সঙ্গে প্রাক্তন স্বামী ও চিত্রাভিনেত্রী। হত্যাকারী কে? শুধু মাত্র একটি চাবির সূত্র ধরে ধাপে ধাপে এগিয়ে কিরীটী যে পদ্ধতিতে আততায়ীকে ধরে ফেললেন তা সত্যই প্রশংসনীয়। “রক্তের দাগ” গল্পটি শুরু হয়েছে এক ভৌতিক পরিবেশে। সুদীপ রােজ রাত্রে বাড়ি ফেরবার সময় কার যেন পায়ের শব্দ শােনে, কে যেন তাকে অনুসরণ করে, তার গা ছমছম করে। কয়েকদিন আগে সে তপন ঘােষের খুনের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছিল, যার ফলে আসামী বেকসুর খালাস পেল। বারবনিতা মৃণালের ঘরে তপন খুন হয়। খুনের সঙ্গে জড়িত আছে তিন বন্ধু—যারা সকলেই এক চোরাকারবারের অংশীদার। গােয়েন্দা গল্পের একটি সাধারণ ফর্মুলা হল সমাপ্তিপর্বে সব চেয়ে অপ্রত্যাশিত ব্যক্তিকে অপরাধী বলে প্রমাণ করা। “রক্তের দাগ”-এ এই কৌশলটি প্রযুক্ত হয়েছে। শেষ পর্যন্ত অবিনাশবাবু আসল অপরাধী বলে প্রমাণিত হয়েছেনI শেষ গল্প “র-প্রিন্ট”-এর স্বাদ একটু আলাদা। এতে আন্তর্জাতিক গুপ্তচর চক্রের কার্যকলাপ বর্ণিত হয়েছে। ভারত সরকারের একটি গােপন দলিল বিদেশে পাচার করার অপচেষ্টা বানচাল করে দিলেন কিরীটী রায়। গল্পটি উপভােগ্য। কিরীটী যখন শেষ মুহুর্তে সমস্ত রহস্য উদঘাটন করে দিলেন, তখন আত্মহত্যা ছাড়া কোন পথ থাকল না মীনাক্ষী খাতনের, যে ছিল গুপ্তচর চক্রের মক্ষিরাণী।অপরাধীর মনস্তত্ত বিশ্লেষণে সিদ্ধহস্ত নীহাররঞ্জন। উপরন্তু তিনি জানেন কি করে
Your Name:
Your Email:
Your Question: