আব্দুল কাইয়ুম যে যুগে বড় হয়েছে সেসময় কম্পিউটার ছিল না। কিন্তু এ জন্য তাঁর জানার আগ্রহ দমে যায়নি। বাসায় ছিল এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা ও দশ খণ্ডের শিশু ভারতী। আর ছিল পড়াশোনা ও জানাবোঝার অনুকূল এক পরিবেশ। সেখান থেকেই শুরু হয় জ্ঞান আহরণ। আগাগোড়া মেধাবী ছাত্র। বড় হয়ে বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন, যদিও বাস্তব জীবনে সেটা আর হয়ে ওঠেনি, হয়েছেন সাংবাদিক। কিন্তু তাতে কিছু যায়-আসে না। বিজ্ঞানের বিষয় নিয়ে পড়াশোনা তাঁর আজও অব্যাহত। তিনি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ১৯৬৫ সালে এসএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর। ঢাকা কলেজে পড়ার সময় একঝাঁক মেধাবী শিক্ষার্থীর সঙ্গে আইয়ুববিরোধী আন্দোলনের কর্মী হয়ে ওঠেন। যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধে। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য বাম রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখির চর্চা। একটি ছাত্রসংগঠনের মুখপত্র সাপ্তাহিক জয়ধ্বনির সম্পাদক ছিলেন। পরে সাংবাদিকতায় যোগ দেন। নিয়মিত রাজনৈতিক কলাম লেখার পাশাপাশি অবিরাম লিখে চলেছেন বিজ্ঞানের নানা টুকিটাকি; কোনটা কেন ঘটে, কী তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ইত্যাদি। তাঁর এসব লেখা সংকলিত করে কয়েকটি বই বেরিয়েছে। বর্তমানে তিনি দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক।